'আন্দোলন করলেই চাকরি নয়, নিয়ম মেনেই হবে নিয়োগ, বার্তা ব্রাত্যর

 "নিয়োগ সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে ও স্বচ্ছভাবে হবে। দুর্নীতিকে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পূর্বে যা ভুল হয়েছে তা সংশোধন করা হচ্ছে।''

Updated By: Nov 1, 2022, 04:54 PM IST
'আন্দোলন করলেই চাকরি নয়, নিয়ম মেনেই হবে নিয়োগ, বার্তা ব্রাত্যর
ফাইল ছবি

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আন্দোলন করলেই যে চাকরি পাওয়া যাবে না, একথা স্পষ্ট করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গান্ধী মূর্তি থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, শিক্ষায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগে বার বার আন্দোলন হয়েছে। এরই মধ্যে পর্ষদ নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন কিছুটা সাফ জানালেন ব্রাত্য়। এদিন তিনি বলেন, আন্দোলন তো হতেই পারে। বঙ্গ দেশে আন্দোলন অনেকটা রাজনৈতিক আন্দোলন সব সময় হয়ে এসেছে। ভুললে চলবে না মুখ্যমন্ত্রী তিনি যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন আন্দোলন তার সিগনেচার ছিল।আন্দোলনের যঠোর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। আন্দোলনকে নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই কিন্তু আন্দোলনের কিছু বৈধতা ন্যায্যতা  অন্যায্যতা আছে আন্দোলন মানেই সব সময় সত্য নয়।আমরা বলতে পারি আন্দোলন একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। তার আইনি দিক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে হবে।

তাহলে যারা আন্দোলন করছে চাকরির দাবীতে তাদের চাকরি কবে হবে ? প্রত্যেকেই কি চাকরি পাবে? ব্রাত্য বসুর জবাব, আমরা স্কুল সার্ভিস কমিশন মহামান্য আদালতের কাছে দুটি অপশন তুলে ধরেছি। যদি মহামান্য আদালত বলেন সমস্ত আন্দোলনকারী এবং ওয়েটিং প্যানেল ভুক্ত এসএসসির ক্ষেত্রে তাদের চাকরি দিতে হবে তাহলে আমরা সুপারনিকে পোস্ট ক্রিয়েট করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনুমোদন দিয়েছেন চাকরি হয়ে যাবে। আর মহামান্য আদালত যদি বলেন আগের কিছু বেনিয়ম বা অনিয়মের ফলে ভুল চুকের ফলে কিছু ভুল অযোগ্য লোকেরা ওখানে ঢুকে আছেন তাঁদের চিহ্নিত করে কোর্ট যদি ক্রম অনুযায়ী ওয়েটিং প্যানেল লিস্টদের চাকরি দেন তাহলে সেই অনুযায়ী চাকরি হবে। আমরা পরিষ্কারভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলেছি এবং আমি আপনাদের সামনে গণমাধ্যমের সামনে প্রেস কনফারেন্স করে বলেছি যে এটা আদালতের ওপর নির্ভর করছে।

 আন্দোলন কেউ করতেই পারে, আন্দোলন বৈধ কিন্তু আন্দোলন বৈধ মানেই ন্যায্য নয়। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন তো হবেই এটা স্বাভাবিক কথা তারা প্রত্যেকে চাকরি পাবেন কিনা সেটা আমি বলতে পারি না মহামান্য আদালত বলবেন। তাহলে যাদের বয়স ৪০ পেরিয়েছে তাদের বিষয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা রয়েছে কি প্রাইমারি টেট-এর ক্ষেত্রে। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এটাতো এনসিটির নিয়ম পর্ষদ আমাদের যেভাবে বলবে সেই ভাবেই এগোবো

বিরোধীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করছে যে এই প্রাইমারির নিয়োগ কিংবা প্রাইমারি টেট পরীক্ষাও স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে না। সেক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য কী? তৃণমূল বিধায়কের দাবি, বিরোধীরা বিরোধীদের কথা বলবেন। কিন্তু আমরা স্বচ্ছ নিয়োগ করতে আইনি নিয়োগ করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বদ্ধপরিকর। আমরা নিয়োগের দিকে এগিয়ে যাব। মামলা হতেই পারে আন্দোলন হতেই পারে কিছু মামলা ন্যায্য আর কিছু মামলা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাহত করার জন্য হচ্ছে এবং সেটা বিরোধীদের একাংশ সেটা ঘটাচ্ছে। আমি শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন রাখব নতুন প্রজন্মের কথা ভেবে নিয়োগটা যাতে হয় বিরোধীরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সহযোগিতা করুন।

রাজ্য সরকার কিছুদিন আগেই আদালতের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে সবাইকে চাকরি দিতে চান। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। এই সমস্যার কথা বলতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, আদালত যেদিন ঠিক করবে নিশ্চয়ই আমাদের জানাবে। প্রায় একমাস কোর্ট বন্ধ ছিল।খুলছে। নিশ্চয়ই খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়টা নিষ্পত্তি হবে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)     

.